Project Map

আবেদনের নিয়মাবলী

আবেদন:
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধার মাতা-পিতা, ভাই-বোন, সন্তান, নাতি-নাতনী,পোষ্যরা এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা পৃথকভাবে আবেদন করতে পারবেন। একজন একাধিক ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।প্রত্যেক আবেদনকারীর জন্য আবেদনপত্রের সাথে সদ্য তোলা তিন কপি ছবি এবং নমিনির এক কপি সদ্য তোলা ছবি, ভোটার আইডি/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি এবং নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। একাধিক ফ্ল্যাট বুকিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা ফরম ও পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। কোনক্রমেই নগদ অর্থ গ্রহণ যোগ্য নয়।
মুক্তিযোদ্ধা সিটি প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর। পাঁচ বছরে চার ধাপে মোট ২০ হাজার ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে।মোট চারটা ধাপে ৫০০০ (পাঁচ হাজার) করে, ২০ হাজার গ্রাহককে লটারির মাধ্যমে মনোনীত করা হবে। লটারির মাধ্যমে কোনো গ্রাহক ফ্ল্যাটের জন্য মনোনীত হলে, গ্রাহকের জমাকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট মুক্তিযোদ্ধা সিটি বা মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ও কল্যাণ ট্রাস্ট’র অনুকূলে জমা হয়ে যাবে। যে সকল গ্রাহক লটারির মাধ্যমে ফ্ল্যাটের জন্য মনোনীত হবে না, কোনো প্রকার কর্তন ছাড়াই তাদের পে-অর্ডার/নগদ অর্থ ফরমে উল্লেখিত একাউন্টে ফেরত চলে যাবে। তবে কোনো গ্রাহক ইচ্ছে করলে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রথম ৫০০০ হাজার ফ্ল্যাট ৩০০০ হাজার টাকা স্কয়ারফিট করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফ্ল্যাটের মোট মূল্যের সাথে জমাকৃত পে-অর্ডারের টাকা সমন্বয় করা হবে। ফ্ল্যাটের মূল্যের সাথে জমির দাম, জমির উন্নয়ন খরচ, রাস্তা-ঘাট নির্মাণসহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।
লটারির মাধ্যমে মনোনীত গ্রাহকগণ ট্রাস্টের অফিসে উপস্থিত হয়ে, আরো তিন লক্ষ টাকা পে-অর্ডার জমা দিয়ে, ফ্ল্যাটের অবস্থান নির্ধারণপূর্বক এ্যালোটমেন্ট রেজিষ্ট্রেশন বুঝে নিবেন। মোট মূল্যর অবশিষ্ট টাকা গ্রাহক তিন ভাবে পরিশোধ করতে পারবেন। যেমন: # বিশেষ ছাড়ে এককালীন পরিশোধ করতে পারবেন। # সুদ বিহীন ৬০ কিস্তিতে (পাঁচ বছরের জন্য) পরিশোধ করতে পারবেন এবং #স্বল্প সুদে ৩০ বছর মেয়াদি ব্যাংক লোনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। (যারা ব্যাংক লোন নিতে ইচ্ছুক তাদেরকে দীর্ঘ মেয়াদি স্বল্প সুদে ঋণ পেতে ‘মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ও কল্যাণ ট্রাস্ট' প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে)।
ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাওয়ার পর যদি কোনো গ্রাহক মারা যান, তাহলে তাঁর নমিনিকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া হবে। কোন গ্রাহক বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট বাতিল করতে চান তাহলে কোনো কর্তন ছাড়াই তার সমুদয় পাওনা ফেরত নিতে পারবেন। মুক্তিযোদ্ধা সিটির মোট ফ্ল্যাটের ৭৫% বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, মুক্তিযোদ্ধার পিতা-মাতা, ভাই-বোন, সন্তান, নাতি-নাতনী এবং পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত, বাকি ২৫% ফ্ল্যাট মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন পেশাজীবী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে উল্লেখিত হারে মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া না গেলে অন্যান্য পেশাজীবীদের মধ্য থেকে সমন্বয় করা হবে।
পে-অর্ডার: বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধার মাতা-পিতা, ভাই-বোন,সন্তান, নাতি-নাতনী এবং পোষ্যদের ক্ষেত্রে ২০০০০ বিশ হাজার টাকার পে-অর্ডার এবং অন্যান্য পেশাজীবী আবেদনকারীদের জন্য ২৫০০০ পচিঁশ হাজার টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট জমা দিতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত সম্মানিত রেমিটেন্স যোদ্ধা (প্রবাসী) আবেদনকারীগণ আবেদনের সমপরিমাণ টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় টি টি বা ব্যাংক ড্রাফট’র মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
যে নামে পে-অর্ডার হবে:
Muktijoddha City অথবা Muktijoddha Gobeshona o Kollyan Trust. নামে পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট বা টি টি করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ও কল্যাণ ট্রাস্ট' মুক্তিযোদ্ধা সিটি প্রকল্পের স্বার্থে অথবা অনিবার্য কারণবশতঃ যেমন-রাষ্ট্রীয়/রাজনৈতিক কোন সমস্যা, প্রাকৃতিক বা বৈশ্বিক কোন দুর্যোগের কারণে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করতে বিলম্ব হলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে। অথবা উপযুক্ত কারণবশতঃ প্রকল্পের লে-আউট, ডিজাইন, বিভিন্ন নিয়ম-কানুন, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন করার ক্ষমতা ‘মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ও কল্যাণ ট্রাস্ট' সংরক্ষণ করে।

Project View