উদ্দেশ্য:
আমাদের দেশে বসবাসের জন্য বিভিন্ন পেশাজীবী লোকদের আলাদা
আলাদা আবাসন বাসস্থান রয়েছে, যেমন আর্মিদের জন্য ডি ও এইচ এস, নেভী হাউজিং,
পুলিশদের জন্য পুলিশ হাউজিং, ব্যাংকার হাউজিং ইত্যাদি এবং বিশেষ
ব্যক্তিদের জন্য উত্তরা, পূর্বাচল সুপরিকল্পিত নগরী। সেই ধারাবাহিকতায়
মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ও কল্যাণ ট্রাস্ট। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর
মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নাতি/নাতনী,পোষ্যদের ও অন্যান্য
পেশাজীবীদের কল্যাণের জন্য “মুক্তিযোদ্ধা র্সিটি” নামে পূর্বাচলে
সুপরিকল্পিত ভাবে একটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে
যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এই সিটি নির্মাণের জন্য ১১০০ বিঘা জমি নির্ধারণ করা
হয়েছে।
প্রকল্পের নামকরণ:
প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে “মুক্তিযোদ্ধা সিটি”। কারণ ঐ
মুক্তিযোদ্ধা নামের সাথে রয়েছে বাঙালী জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগ-অনুভূতি,
শোষণ-নিপীড়ন এবং সর্বোপরি বিজয়ের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস। তাই বাঙালী জাতির
একান্ত সম্পদ বলতে কিংবা অহংকার করার মত নিজ্বস্ব সত্তা বলতে মুক্তিযুদ্ধকে
বুঝায়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিসীম গুরত্ব বহন করে। তাই এই
প্রকল্পকে “মুক্তিযোদ্ধা সিটি” নামে নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে
মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো দেশকে ১১টা সেক্টরে ভাগ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা
সিটিকেও সেই আদলে ১১টা সেক্টরে রূপান্তর করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সিটিতে
বিভিন্ন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বিল্ডিংসমূহ মুক্তিযুদ্ধের
সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নামে নামকরণ করা হবে। এছাড়াও
বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য সংবলিত তথ্যসমূহ মুক্তিযোদ্ধা সিটির
প্রতিটি রাস্তায় রেঁস্তোরা, দেয়ালে দেয়ালে এবং অবকাশ যাপন কেন্দ্রসহ সকল
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শোভা পাবে। খোদাই করে রাখা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের
বীরগাঁথা, অমর করে তুলে ধরা হবে বাঙালী জাতির পূর্ব পুরুষ, মাতা ও ভগ্নিদের
আত্মত্যাগ ও বিশ্ব জয়ের ইতিহাস।